কুতুবদিয়ায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে লবন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে লবন চাষিরা। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মাঠ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর ঘুর্ণিঝড়বুলবুলির প্রভাবে শুরুতে মাঠ তৈরিতে হোচঁট খেয়েছিল চাষিরা। চলতি বছর লবন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন তথ্য মতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৯৮০ একর জমিতে লবন চাষ হতে পারে।
এ ছাড়া লেমশীখালীতে লবন প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিসিক) রয়েছে ৭৯ একর লবন মাঠ। অনেক মাঠে লাগিয়ত মূল্য কম হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় গত ৩ বছর ধরে লবনের কাংখিত দাম পাচ্ছেনা চাষিরা। উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লবন ব্যবসায়ি মোহাম্মদ আলী বলেন, বাঁকখালী, তেলিয়াকাটা সহ ৩টি মাঠে তিনি অন্তত ৬৫ একর লবন চাষকরবেন এবার। ৬ মাসের জন্য নিয়োগকৃত শ্রমিকের মূল্য ৯০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা। মাঠে পলিথিন,পানি নিষ্কাসন ইত্যাদির খরচও বেশি। আবাহাওয়া অনুক’লে থাকলে প্রতি একর জমিতে সাড়ে সাত‘শ মণ লবণ উৎপাদন হতে পারে। যে কারণে চাািষদের উৎপাদন খরচও উঠবেনা বলে জানান তিনি।
অপর দিকে লবনের দাম বৃদ্ধির আশায় অনেকেই মাঠে গত বছরের লবন জমা রেখেছেন। যার বর্তমান মূল্য মণপ্রতি ১৬০ টাকা। নতুন লবন ওঠা শুরু হলে দাম এর চেয়ে আর বেশি হবেনা। অধিকাংশ লবন চাষের জমি লবন ব্যবসায়িদের দখলে।উপজেলায় অন্তত ২০০ লবন ব্যবসায়ি রয়েছেন। যারা চাষিদের লবন বেচেঁই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তারা উচ্চ দামে চাষিদের কাছে উৎপাদিত লবন দেবে এমন চুক্তির মাধ্যমে লাগিয়ত দিয়ে থাকে। প্রতি একর লবন জমি একসনা ৮০/৮৫ হাজার টাকা।
মধ্যম কৈয়ারবিলের মন্জুর আলম জানান, লবনের দাম নেই। মাঠে পুরাতন প্রতিমণ লবন ১৬০ টাকা। দাম বাড়বে সেই আশায় চাষ করা শুরু করেছি।এ ছাড়া বিদেশ থেকে লবন আমদানির গুজবেও লবন ব্যবসায়িরা মাঠ পর্যায়ে দাম কমিয়ে দেন। কষ্ট করে উৎপাদিত লবন ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তারা মনে করেন।
স্থানীয় বিসিকের সহকারি পরিদর্শক হাফেজ জাকের হোছাইন বলেন,নতুন অর্থ বছরে লবন উৎপাদনে এখনো উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রিত হয়নি। চাষিরা মাঠে নামলেও তাদের বিসিক মাঠে ৭৯ একর লবন জমি প্রান্তিক চাষিদের মাঝে একসনা বরাদ্ধ দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: